তেড়ে আসছে যশ, হোটেলে তল্লাশি, সরানো হচ্ছে করোনা রোগীদেরও
আগামী বুধবার সন্ধেয় অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। তার আগে উপকূলীয় নিচু এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানো শুরু করে দিল প্রশাসন।
যশ যে আসছে তা সোমবার থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে অনেকটা স্থলভাগের ভিতরে থাকা খোদ শহর কলকাতার আকাশও মেঘে ঢাকা পড়েছে। গরম অনেকটাই উধাও।
আগামী বুধবার যশ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা। ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার গতিতে এই অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে রাজ্যের সাগরদ্বীপের মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
যশ মোকাবিলায় অবশ্য রাজ্য প্রশাসন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। গত রবিবার থেকে মানুষজনকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরানোও শুরু হয়ে গেল।
বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় নিচু এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানো হচ্ছে। যাঁরা মাটির তৈরি বাড়িতে থাকেন তাঁদের সরানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনের তরফে এঁদের সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে চলে যেতে বলা হয়েছে। এমনকি করোনা সংক্রমিতদেরও সরানো হচ্ছে। তাঁদের সেফ হোমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মানুষজনকে সরানোর পাশাপাশি দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি-র মত পর্যটন কেন্দ্রে যাতে একজনও পর্যটক না থাকেন সেদিকে কড়া নজর দিয়েছে প্রশাসন। এখানকার প্রতিটি হোটেলে চলছে তল্লাশি। সেখানে কোনও পর্যটক রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।