দিঘা, সুন্দরবনে প্রকৃতির জোড়া চোখ রাঙানি, জারি সতর্কতা
দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জুড়ে শুরু হল প্রচার। অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যা শুক্রবার থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণ হবে দক্ষিণবঙ্গে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
তবে শুধু নিম্নচাপ বলেই নয়, চিন্তার ভাঁজ আরও পুরু করেছে সঙ্গে আসা ভরা কোটাল। অমাবস্যার কোটাল নিম্নচাপের সঙ্গত পেয়ে জোড়া ক্ষমতায় তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তাই সুন্দরবনে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সুন্দরবনের অনেক জায়গায় যশ-এর তাণ্ডবের ছবি স্পষ্ট। বহু মানুষ গ্রামে ফিরলেও তাঁদের বাড়ি ঘর বলে প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে তাঁরা ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছিলেন কি করেননি, ফের ঘনিয়ে এল দুর্যোগ।
ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে সমুদ্রের জল কিছু কিছু জায়গায় ঢুকতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি আগামী ৩-৪ দিনে আরও শোচনীয় হবে বলেই প্রশাসনের অনুমান। সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে মাইকিংও হয়েছে।
অনেক মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে সুরক্ষিত জায়গায়। মৎস্যজীবীদেরও ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
একই পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরেও। নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের সবচেয়ে বেশি প্রভাব উপকূলীয় জেলাতেই পড়ে। তছনছ হওয়া দিঘায় নতুন করে সতর্কতার ঘোষণা হয়েছে। মাইকিং হয়েছে। মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি ও ভরা কোটালে সমুদ্রের ভয়ংকর চেহারা নিয়ে।
দিঘা তো বটেই, সেইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা জুড়েই প্রচার চলছে। সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। কোটালের কারণে জলোচ্ছ্বাস ফের নোনা জলে ভরে দিতে পারে অনেক শহর, গ্রাম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।