মৃতদেহ নিয়ে শ্মশান পৌঁছনো হল না, মাঝপথেই মৃত ১৮ শ্মশানযাত্রী
এ এক মর্মান্তিক পরিণতি। মৃতদেহ সৎকারের জন্য দেহ নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু শ্মশান পর্যন্ত পৌঁছনো হল না। তার আগেই মৃত্যু হল ১৮ জনের।
তখনও রাতের আঁধার কাটেনি। শ্রাবণী মুহুরি নামে এক মহিলার দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকে বার হন অনেকে। একটি গাড়ি করে নিয়েছিলেন তাঁরা। তাতেই দেহ তুলে তাঁরা রওনা দেন নবদ্বীপের উদ্দেশে।
ভোর হতে তখন একটু দেরি, এই সময় বার হন তাঁরা। ভোরের আলো যখন ফোটে তখনও রাস্তা কুয়াশায় ঢাকা। এরমধ্যেই দেহ নিয়ে গাড়ি ছুটছিল গতিতেই। সেই গতিই কাল হল।
গাড়ি তখন পৌঁছেছে নদিয়ার হাঁসখালির ফুলবাড়ি মাঠের কাছে। সেখানে রাস্তায় ধারে দাঁড়িয়েছিল একটি পাথর বোঝাই লরি। সেই লরিতেই ধাক্কা মারে গাড়িটি। প্রবল সংঘর্ষে গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে যায়। অনেক শ্মশানযাত্রী রক্তাক্ত হন।
তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা পরীক্ষার পর ১৮ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ নিয়ে আর শ্মশানে যাওয়া তাঁদের হল না। দেহটিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ট্যুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শোক ব্যক্ত করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও।
গতিই আসল কারণ কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর স্থানীয়রাও উদ্ধারে হাত লাগান। ভোরেই হৈচৈ পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। দেহ নিয়ে প্রায় ৪০ জন শ্মশানের দিকে যাচ্ছিলেন।