স্ত্রীকে না পেয়ে শ্যালিকার বাড়ি পুড়িয়ে দিল জামাইবাবু
স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে প্রথমে শ্যালিকার সঙ্গে প্রবল ঝগড়া করে জামাইবাবু। তারপর শ্যালিকার বাড়িতে আগুন দিয়ে সব পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

১০ বছর আগে বাঁকুড়ার মেয়ে কাজলের সঙ্গে বিয়ে হন পাপ্পু সিং নামে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দার। পাপ্পুর বিরুদ্ধে অনেকদিনের অভিযোগ যে সে স্ত্রী কাজলকে মারধর করত। তবু সংসার ছেড়ে চলে আসেননি কাজল।
৩ সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করেও পাপ্পুর সঙ্গে ঘর করছিলেন কাজল। কদিন আগে সন্তানদের নিয়ে কাজল ও পাপ্পু বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের কামারপাড়া এলাকায় আসেন। এখানেই কাজলের বাপের বাড়ি। সেখানেই ওঠেন তাঁরা।
অভিযোগ গত বৃহস্পতিবার কাজলকে ফের মারধর করে পাপ্পু। আর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কাজল সেদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে বোনের কাছে চলে আসেন।
বিষ্ণুপুরেরই দরবার এলাকায় কাজলের বোন পূজা থাকেন। পূজার দাবি তাঁর দিদি এলেও কিছু পরে সেখান থেকে চলে যান। এদিকে শুক্রবার স্ত্রীকে খুঁজতে খুঁজতে পাপ্পু সিং হাজির হয় পূজার বাড়ি।
সেখানে এসে শ্যালিকা পূজার সঙ্গে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেয় পাপ্পু। ঝগড়া চরমে পৌঁছলে স্থানীয়রা হস্তক্ষেপ করেন। বিষয়টি তখনকার মত শান্ত হয়। এরপর পূজা অন্যদিনের মতই নিজের কাজে বেরিয়ে যান।
কিছু পরেই দেখা যায় পূজার বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে। আগুন নেভাতে হাত লাগান স্থানীয়রা। খবর যায় দমকলে। দমকলের ১টি ইঞ্জিন এসে আগুন যখন নিয়ন্ত্রণে আনে তখন বাড়ি প্রায় পুরোটাই ছাইয়ে পরিণত হয়েছে।
ঘটনার পর পাপ্পুই আগুন লাগিয়েছে বলে মনে করে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পূজা মণ্ডলও পুলিশের কাছে বাড়ি পোড়ানোর জন্য জামাইবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। পাপ্পুকে আটক করেছে পুলিশ। পূজার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে স্থানীয় বিধায়ক ও পুরপ্রশাসক হাজির হন।