State

বোমাবাজি, কাঁদানে গ্যাস, ইভিএম ভাঙচুর, গুলি চলার অভিযোগ, পুরভোটের দিনলিপি

১০৮টি পুরসভার দায়িত্ব কাদের হাতে থাকবে। তা স্থির করতেই রবিবার রাজ্য জুড়ে ছিল ভোটের মেজাজ। তবে ভোটপর্ব খুব শান্তিতে মিটল না। হল বিক্ষিপ্ত অশান্তি।

ভোটের দিন কাম্য হল শান্তিতে ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন। থাকবে উৎসবের মেজাজ। কিন্তু বাস্তবে তা বড় একটা মেলেনা। রবিবার রাজ্যের পুরভোটেও সেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে।

ভোট শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোটোখাটো কথা কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কির খবর আসতে থাকে।


সময় যত এগিয়েছে ততই অশান্তির খবর বেড়েছে। কামারহাটি পুরসভার উত্তর বাসুদেবপুরে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগতরা বাইক ও গাড়িতে এসেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাড়া করেন স্থানীয়রা। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর হয়। একটি গাড়ি উল্টে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি ওই গাড়িতে বোমা রাখা ছিল। ফলে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

অন্যদিকে ভাটপাড়ায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এলে তাঁর দিকে তেড়ে আসেন বেশ কয়েকজন যুবক। চলে অশ্রাব্য গালিগালাজ।


পুলিশ অর্জুন সিংকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। অর্জুন সিং সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে যুবকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে জঙ্গিপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে তৃণমূল ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি বেশ কিছুটা সময় উত্তপ্ত থাকে।

ডালখোলায় বুথ দখলের অভিযোগে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর হয়। বোমাবাজি হয়। বোমাবাজির খবর মিলেছে ধুলিয়ান থেকেও।

হালিশহরেও একটি বুথের সামনে বোমা পড়ে। গারুলিয়ায় বোমাবাজি হয়। মধ্যমগ্রামে ২০৫ নম্বর বুথে সিপিএম প্রার্থীর এজেন্টের বিরুদ্ধে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।

ওখানে সংবাদমাধ্যম খবর সংগ্রহে গেলে তারা একদল দুষ্কৃতির হাতে নিগৃহীত হয়। কাঁথি ও দমদমে দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হন একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button