৪০ বছর পর কাঁথি হারাল অধিকারী পরিবার, গড় রক্ষায় ব্যর্থ দিলীপ, অর্জুন, অধীরও
পুরভোটে তৃণমূলের তুফানি জয়ে কার্যত খড়কুটোর মত উড়ে গেল বাকি দলগুলি। শোচনীয় পরিস্থিতি বিজেপি ও কংগ্রেসের। গড় রক্ষায় ব্যর্থ তাবড় নেতারা।
কাঁথি পুরসভার দখল এতদিন নিজেদের হাতে রেখেছিল অধিকারী পরিবার। এতদিন বলতে ৪০ বছরের বেশি। কাঁথির অবিসংবাদী নেতা ছিলেন শিশির অধিকারী। পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্য ছেলেরা কাঁথি পুরসভার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার ভূমিকাই পালন করেছেন।
সেই কাঁথি পুরসভায় এবার কী পদ্ম ফুটবে? শুভেন্দু অধিকারী এখন রাজ্যের বিজেপি নেতাই নন, তিনি বিরোধী দলনেতাও। শিশির অধিকারী তৃণমূল সাংসদ পদ না ছাড়লেও তাঁকে বিজেপির মঞ্চেও দেখা গেছে প্রচারে।
অধিকারি পরিবারের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত সেই কাঁথি পুরসভার অধিকারই হাতছাড়া হল অধিকারী পরিবারের। সেখানে অখিল গিরির ম্যাজিক কাজে লেগে গেল। কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বিড়ম্বনা শতগুণ বাড়িয়ে সেখানেও পুর নির্বাচনে ঘাসফুল ফুটেছে।
নিজেদের খাসতালুক ধরে রাখতে পারেননি দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, অধীর চৌধুরীও। দিলীপ ঘোষের গড় হিসাবে পরিচিত খড়গপুরে পুরসভা জিতে নিয়েছে তৃণমূল। ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ৬টি আসন দখলে রাখতে পেরেছে বিজেপি।
যদিও খড়গপুরে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিল বিজেপিই। জয়ী হয়েছিলেন অভিনেতা রাজনৈতিক হিরণ। তিনি কাউন্সিলর নির্বাচনেও জিতেছেন।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক ভাটপাড়া পুরসভাতেও বিজেপির শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। সেখানে ৩৪টির মধ্যে ৩৪টিই তৃণমূলের দখলে গেছে।
একইভাবে বাম আমল থেকেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুর অধীর চৌধুরীর গড় হিসাবে পরিচিত। বহরমপুর পুরসভাও তৃণমূলের দখলে। ২২টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জিতেছে তৃণমূল।
অন্যদিকে জয়নগর মজিলপুর পুরসভায় এবার প্রথম মাথা গলাল তৃণমূল। ১৪টি ওয়ার্ডের ১২টিতেই তৃণমূল প্রার্থীরা জিতেছেন। ফলে বোর্ডও তাঁরাই গঠন করতে চলেছেন।