হেডস্যারের ঘুষিতে অঙ্কের স্যার লুটিয়ে পড়লেন মেঝেতে, পালাল ছাত্ররা
ছাত্রদের মধ্যে মারামারি কড়া হাতে দমন করতেন স্যারেরা। এখন হচ্ছে উলট পুরাণ। স্যারেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। যা দেখে আতঙ্কিত ছাত্ররা।
কদিন আগেই নদিয়ায় ২ মাস্টারমশাইয়ের মারামারি গোটা দেশে খবর হয়ে গিয়েছিল। এবার ফের ২ স্যারের মারামারির ঘটনা ঘটল। এবার ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাজিতপুর এমএসকে স্কুলে।
সেখানে শুক্রবার সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হাতে বেধড়ক মার খেলেন স্কুলের এক অঙ্কের স্যার। মেরে তাঁর মুখ ফাটিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়েন ক্লাসের মেঝেতে। মেঝেতে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। সেই দৃশ্য দেখে ছাত্ররা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়।
এদিকে অঙ্কের স্যার কার্তিক পালকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন কার্তিকবাবু।
হেডস্যার জয়দেব ঘোষকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ছাত্রদের অভিভাবকরাও হেডস্যারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
জানা যাচ্ছে কার্তিক পাল শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাঁর শরীর বড় একটা ভাল যেত না। তিনি আগের দিন হাফ ছুটি করে চিকিৎসকের কাছে যেতে চাইলে সেই ছুটি মঞ্জুর করেননি হেডস্যার। কিন্তু তা সত্ত্বেও কার্তিক পাল বেরিয়ে যান। এদিন সকালে ওই বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। তারপরই জয়দেব ঘোষ চড়াও হন কার্তিক পালের ওপর।
অন্যদিকে এও শোনা যাচ্ছে কার্তিক পাল হেডস্যারের কাছে কিছু টাকা পেতেন। তা চাওয়াকে কেন্দ্র করেই ঝগড়ার সূত্রপাত। কারণ যাই হোক এভাবে স্যারেদের মধ্যে হাতাহাতি রক্তারক্তি কিন্তু ছাত্রদের জন্য অত্যন্ত খারাপ এক বার্তা বহন করছে।