State

এক জোড়া জুতো আর ৫০০ টাকার জন্য বরবাদ তরুণের জীবন

সব শেষ হয়ে গেল এক জোড়া জুতো আর ৫০০টা টাকার জন্য। কাঁদতে কাঁদতে সে কথাই জানিয়েছে এক তরুণ। সে জানতেও পারেনি কীভাবে ফেঁসে গেল সে।

গরু চরাতে গিয়েছিল সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের পিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা তরুণ আনসার আলি মাঝেমধ্যেই সেখানে গরু চরাতে যায়।

তার দাবি, সেখানেই গরু চরানোর সময় এক ব্যক্তি তার সঙ্গে এসে কথা বলে। কথায় কথায় সে জানায় আলি যদি তার বন্ধুকে কয়েকটা মোবাইলের ব্যাটারি পৌঁছে দেয় তাহলে ওই বন্ধু আলিকে এক জোড়া স্পোর্টস শু আর ৫০০ টাকা দেবে।


আলির অনেক দিনের শখ এমন এক জোড়া জুতো। কেবল কয়েকটা ব্যাটারি পৌঁছে দিয়ে যদি এগুলো পাওয়া যায় তাহলে ক্ষতি কি? এটা ভেবেই দরিদ্র পরিবারের ছেলে আলি অফারটা লুফে নেয়।

মালদার ভারত বাংলাদেশ বয়রাঘাট সীমান্তে এক ব্যক্তির ওই মোবাইলের ব্যাটারি নিতে আসার কথা ছিল। ওপার থেকে আসার কথা ছিল।


সেইমত আলি একটি মোবাইলের বাক্সে ব্যাটারি নিয়ে হাজির হয়। যদিও শর্ত ছিল সে মোবাইলের বাক্স খুলে দেখতে পারবেনা ব্যাটারিগুলি। যেভাবে প্যাক করে দেওয়া হয়েছে সেভাবেই ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দিতে হবে।

সেখানে সেই মোবাইলের প্যাকেট তুলে দেওয়ার আগেই বিএসএফ জওয়ানরা আলিকে পাকড়াও করে তার হাতে থাকা বাক্স পরীক্ষা করেন। দেখা যায় বাক্সের মধ্যে ব্যাটারি নয়, রয়েছে ৮টি সোনার বিস্কুট। যার প্রতিটির ওজন ৯৩৩ গ্রাম। পাকড়াও করা হয় আলিকে।

আলি পুরো ঘটনা জানানোর সময় কেঁদে ফেলে। তার দাবি, সে কেবল এক জোড়া জুতো আর ৫০০ টাকা পাওয়ার আশায় এ কাজ করেছে। তার কিছুই জানা নেই ভিতরে কি ছিল।

কিন্তু সীমান্তে এভাবে সোনার বিস্কুট সহ ধরা পড়ার পর আলিকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। তারপর তাকে কাস্টমস আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

কারা এই চোরাচালানের পিছনে রয়েছে তা খুঁজতে আলির বয়ান কাজে আসতে পারে। কিন্তু দারিদ্রকে কাজে লাগিয়ে এভাবে স্থানীয় যুবকদের চোরাচালানে শামিল করার পর তাদের জীবনে কালি পড়ে যাচ্ছে। নাম উঠে যাচ্ছে সম্ভাব্য চোরাচালানকারীদের তালিকায়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button