অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ, সন্ধে নামতেই এল স্বস্তির বৃষ্টি
প্রাণান্তকর গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের মানুষের একটাই প্রার্থনা ছিল, বৃষ্টি আসুক ঝেঁপে। তা ঝেঁপে না এলেও বৃষ্টি অবশেষে নামল। ঠান্ডা হল চারধার।
কবে আসবে বৃষ্টি? এটাই ছিল শহর থেকে গ্রামের মানুষের একমাত্র প্রশ্ন। যার উত্তরে আবহাওয়া দফতর ইঙ্গিত দিয়েছিল যে শুক্রবার থেকে আবহাওয়া বদলাবে। তবে বৃষ্টি নামতে নামতে মে মাসের শুরু।
যদিও প্রকৃতি আরও একটু সদয় হল গরমে পোড়া মানুষগুলোর আকুল আর্তিতে। শুক্রবার সন্ধে নামতেই নামল বৃষ্টি। কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলিতে এদিন বৃষ্টি নামে।
যদিও বৈশাখের চেনা ছন্দ মেনে বৃষ্টি আসেনি। বৈশাখে বৃষ্টি আসে একপ্রস্ত ঝড়ের পর। সে কালবৈশাখীও হতে পারে অথবা নিদেনপক্ষে দমকা হাওয়া। সেসব কিন্তু এদিন হয়নি। বরং বৃষ্টি নামে সরাসরি।
বৃষ্টি যে খুব হয়েছে এমনটাও নয়। এক পশলা বৃষ্টি। তবে তাতেই প্রকৃতি গেছে বদলে। আবহাওয়া অনেকটা বদলে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকেছে। যা শরীরে ছোঁয়া লাগতেই মনে হয়েছে শরীর থেকে যেন একটা লুকোনো তাপ বেরিয়ে যাচ্ছে হাওয়ার স্পর্শে।
বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ যে তৈরি হবে তা আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। শুক্রবার সকালের দিকে অনেক জায়গায় মেঘলা আকাশও দেখা যায়। যা গরমে অনেকটা রাশ টেনেছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই সেসব উধাও হয়ে প্রখর রোদে সেই কাঠফাটা গরম অনুভূত হতে থাকে। রাস্তায় টেকা যাচ্ছিল না বেশিক্ষণ।
অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৃষ্টি আসায় বেজায় খুশি মানুষজন। অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতেও শুরু করেন। এখন এই বৃষ্টির প্রবণতা বজায় থাকুক এটাই চাইছেন সকলে।