অবরোধ তুলে নিন, মুখ্যমন্ত্রীর করজোড়ে অনুরোধ
সকাল থেকে অবরোধের কবলে পড়ে জাতীয় সড়ক। হাওড়ার জোমজুড়ের কাছে অবরোধ শুরু হয়। তারপর থেকে বিকেল গড়িয়েও অবরোধ চলল।
ভ্যাপসা অসহ্য গরমে জেরবার হয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই অবস্থায় বেলা ১০টার পর থেকে সেই যে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর গাড়ির লাইন পড়তে শুরু করে তা ক্রমশ দীর্ঘ হতেই থাকে।
বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার এক বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদেই শুরু হয় অবরোধ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু হয় ডোমজুড়ে। যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতেই থাকে।
এভাবে প্রবল গরমে আটকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। গাড়ির লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। গরমে, ক্ষুধা, তৃষ্ণায় জেরবার হতে থাকেন মানুষজন।
বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে হাতজোড় করে জানান এটা স্পর্শকাতর বিষয়। অবরোধ তুলে নিয়ে থানায় থানায় বরং এফআইআর দায়ের করার পরামর্শ দেন তিনি।
দিল্লি থেকে করা একটি মন্তব্যে কেন এ রাজ্যে এভাবে অবরোধ সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। নাখোদা মসজিদের ইমামের একটি বক্তব্য দেখান তিনি। যেখানে নাখোদা মসজিদের ইমাম অবরোধ তুলে নেওয়ার বার্তা দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরও কিন্তু বিকেলে অবরোধ ওঠেনি। এদিকে সকাল থেকে অবরোধে আটকে থাকা মানুষজন ক্রমশ ধৈর্য হারাতে থাকেন। পড়ন্ত বিকেলেও কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থিকথিকে মানুষের ভিড় আর যানজট এক দুঃসহ পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরে।
অনেকেই সোশ্যাল মাধ্যমে প্রশ্ন তুলতে থাকেন এভাবে আর কতক্ষণ যানজটে আটকে থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। প্রতিবাদের ভাষা কেবল অবরোধই কেন সে প্রশ্নও তোলেন অনেকে।