রেললাইনে ডনবৈঠকের হিড়িক, থমকে গেল অনেক ট্রেনের চাকা
রেললাইনের ওপর চলছে ডনবৈঠক। ফলে সেখান দিয়ে ট্রেন চলাচল অসম্ভব। তার জেরে একের পর এক ট্রেনের চাকা গেল থমকে।
স্টেশনে তখন ভালই যাত্রীদের ভিড়। যদিও শনিবার। তবু ভিড় নেহাত কম নয়। ব্যারাকপুরের মত স্টেশন যথেষ্ট ব্যস্ত স্টেশন হিসাবেই পরিচিত। সেখানে সাধারণ যাত্রীরা কিছুটা হতবাক হয়ে গেলেন কয়েকজন যুবকের কাণ্ড দেখে।
ব্যারাকপুর স্টেশনেই লাইনের ওপর তাঁরা নিজেদের মত করে জায়গা করে নিয়ে ডনবৈঠক দিতে শুরু করেন। কি হচ্ছে তা বোঝার জন্য সেখানে ক্রমশ ভিড় জমতে থাকে। যদিও ওই যুবকরা নির্বিকারভাবেই ডনবৈঠক দিতে থাকেন।
ভারতজুড়ে গত বুধবার থেকেই চলছে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের নয়া প্রকল্প অগ্নিপথ-এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন। ইতিমধ্যেই ১১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রতিবাদের আগুন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ট্রেনের।
শুধু বিহারেই প্রায় ২০০ কোটি টাকার রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। তেলেঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুও হয়েছে। বহু জায়গায় ট্রেনের পাশাপাশি পুড়ছে বাস। চলছে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর।
সেই অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঢেউ এসে গত শুক্রবারই লাগে বাংলায়। শনিবার সেই প্রকল্পের বিরোধিতা করতেই ব্যারাকপুর স্টেশনে এভাবে রেললাইনে ডনবৈঠক দিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন সেনায় চাকরি প্রার্থীরা।
লাইনে ডনবৈঠক চলায় বহু ট্রেন থমকে যায়। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও লেগে যায় বিক্ষোভকারীদের। এভাবে প্রায় ২ ঘণ্টা চলার পর অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। ট্রেন চালু হয়।
প্রসঙ্গত দেশজুড়ে আন্দোলনের আঁচ বাড়তে থাকায় এদিন আরও একধাপ পিছিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিরক্ষামন্ত্রকে অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ চাকরির কথা ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।