বাংলার গ্রামেই হয়ত আদিম মানুষের বসবাস, মিলল এমনই এক গুহার সন্ধান
এমন এক গুহার সন্ধান শহর থেকে কিছুটা দূরেই মিলেছে যা হয়তো ইতিহাস বদলে দিতে পারে। স্থানীয়রা দাবি করছেন এ গুহায় বাস ছিল আদিম মানুষের।
কলকাতা শহর ছেড়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টা পথ। তাতেই পৌঁছে যাওয়া যায় বাঁকুড়ার পোড়া পাহাড় এলাকায়। পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গা কার্যত জঙ্গলমহলের অংশ। যথেষ্ট দুর্গম এখানকার পাহাড়ি এলাকা। সেখানেই গবেষণার কাজে গিয়েছিলেন এক ইতিহাসবিদ।
তিনি পোড়া পাহাড়ের খাঁজে একটি গুহা দেখতে পান। নজরে পড়ার পরই তিনি বুঝতে এ গুহা সাধারণ গুহা নয়। যদিও স্থানীয়দের কাছে এই গুহা অজানা নয়।
তবে তাঁরা এর মধ্যে ঢুকে ভাল করে তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেননি। অবশেষে এক ইতিহাসবিদের নজরে পড়ার পর গুহাটির গুরুত্ব সকলের কাছে পরিস্কার হয়।
প্রায় ৬ ফুট উঁচু গুহাটিতে দিব্যি মানুষ ঢুকে হাঁটতে পারে। গুহাটির ভিতরে ঢোকার পর গুহা পথ ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। তার একটি অন্য প্রান্তে বার হচ্ছে।
অন্য পথে রয়েছে অনেকগুলি কুঠুরির মত। যেখানে মানুষের বসবাস ছিল বলেই স্পষ্ট। থাকার জন্যই ওই কুঠুরি যত্ন করে পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা নিশ্চিত যে এখানে আদিম মানুষ বাস করতেন। একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যায়না এই দাবি। তবে আরও গবেষণা করলেই পরিস্কার হয়ে যাবে গুহাটির বয়সকাল এবং সেখানে কারা থাকতেন। অন্তত একটা ধারনা তো পাওয়াই যাবে।
যা থেকে গুহাটির ইতিহাস সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারনা মিলবে। এমনকি গুহাটি সংরক্ষণের দাবিও জোরদার হয়েছে। খোদ পশ্চিমবঙ্গেই এমন এক আবিষ্কার রীতিমত নজর কেড়েছে সকলের।