State

গ্রামের দরজায় মোক্ষম চাল, হামলা না করে খুশি মনে ফিরে যাচ্ছে হাতির পাল

গ্রামে ঢুকে হাতির তাণ্ডবের কথা নতুন নয়। কিন্তু এখন এক মোক্ষম চালে কোনও অশান্তি ছাড়াই গ্রামে না ঢুকে ফিরে যাচ্ছে হাতির পাল।

পশ্চিমবঙ্গে উত্তর থেকে দক্ষিণ, নানা স্থানে হাতির হামলার ঘটনা প্রায়দিন শিরনামে উঠে আসে। হাতির হামলা থেকে গ্রামকে রক্ষা করতে ও ফসল বাঁচাতে মানুষের সঙ্গে হাতির সংঘর্ষও বেঁধে যায়। যাতে গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি তো হয়ই, এমনকি অনেক সময় হাতির তাণ্ডবে মানুষের মৃত্যুও হয়।

এই পরিস্থিতি এড়ানো এখনও সম্ভব হয়নি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এমন এক উপায় বার করলেন, যাতে হাতির পাল গ্রামের কাছে আসছে বটে, কিন্তু গ্রামে ঢুকছে না। আবার খুশি মনেই গ্রামের বাইরে থেকে চলে যাচ্ছে।


এতে গ্রামের কোনও ক্ষতিও হচ্ছেনা। আবার ফসলও বাঁচছে। মানুষও বাঁচছেন। এই সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না ম্যাজিক পদ্ধতি কিন্তু এসব গ্রামের মানুষ আদপে আদিবাসী গ্রামের বহু প্রাচীন পন্থা থেকেই পেয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের লাটাবাড়ি গ্রাম। এখানেই হাতি হঠানোর পদ্ধতি কামাল দেখাচ্ছে। যা ১০০ শতাংশ কাজ করছে বলে মেনে নিচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকরাও।


ওই গ্রামের মানুষ ক্ষুধার্ত হাতির পালের গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব ঠেকাতে গ্রামের দরজায় নিয়ম করে রেখে দিচ্ছেন কয়েক কেজি ধান অথবা কয়েকটা কুমড়ো।

সেই অব্ধি পৌঁছে ওইটুকু খাবারেই সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যাচ্ছে হাতির পাল। গ্রামে ঢোকার চেষ্টাই করছে না। গ্রামের মানুষের এরফলে ফসল বেঁচে যাচ্ছে। গ্রামেরও ক্ষতি হচ্ছেনা।

এই পদ্ধতি মেনেই হাতিদের তাঁদের মহল্লা থেকে দূরে রাখতেন আদিবাসী গ্রামের মানুষজন। সেই প্রাচীন পদ্ধতি এত ভালভাবে কাজ করায় এখন এই পদ্ধতিকেই মানুষ ও হাতির সংঘর্ষ এড়ানোর পন্থা হিসেব প্রচার করতে চাইছে বন দফতর। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ বঙ্গ, নানা জায়গায় হাতির হামলা ঠেকাতে এই পদ্ধতি নিয়ে প্রচারের কথাও বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button