State

শুঁটকি বলে চোখে ধুলো দিয়ে এ রাজ্যে সমুদ্রের ত্রাসের চোরাচালান

দেখে শুঁটকি বলে যে কেউ মেনে নেবেন। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্রের ধারে শুঁটকির নামে অন্য চোরাচালান চলছে। যা বিশেষ কয়েকটি ইঙ্গিতে ধরে ফেললেন আধিকারিকরা।

এ রাজ্যে তো বটেই, বাংলাদেশ সহ নানা জায়গায় শুঁটকি মাছের বিশেষ কদর রয়েছে। এই শুকনো মাছ রাঁধা হলে অনেকেরই জিভে নিমেষে জল চলে আসে। ফলে এর জনপ্রিয়তা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে সমুদ্র তীরের অনেক রাজ্যেই শুঁটকির একটা চাহিদা আছে।

এই শুঁটকি মাছের বিশাল ব্যবসা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র তীরে। একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয়েছিল রাজ্য বন দফতর এবং উপকূলরক্ষী পুলিশের যৌথ দল।


একটি ট্রেলার থেকে নামানো ৭০টি ক্রেটে দলের সদস্যরা দেখেন শুঁটকি নামানো হচ্ছে। তবে কয়েকজন আধিকারিকের সন্দেহ হয়। তাঁরা সেই শুঁটকি খুব কাছে থেকে পরীক্ষা করতে শুরু করেন।

আধিকারিকরা দেখেন কয়েকটির আকার চৌকো মতন, যা শুঁটকির হয়না। এছাড়া অনেকগুলি টুকরোতেই তাঁরা ফ্যাটি ফাইবার স্তর পান। যা শুঁটকি মাছের হয়না।


তখনই পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় প্রায় একরকম দেখতে হওয়ায় শুঁটকি বলে চোখে ধুলো দিয়ে আসলে হাঙরের মাংস এবং পাখনা শুঁটকির মত শুকিয়ে পাচার করা চলছিল। যা একবার দেখে বোঝার উপায় নেই। এভাবে হাঙর শিকার নিষিদ্ধ। ভারতে হাঙরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ না হলেও তার পাখনা বিক্রি নিষিদ্ধ।

এটা অনেকে বিশ্বাস করেন যে হাঙরের পাখনা খেলে কাম উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়। তাই লুকিয়ে এই পাখনাও বিক্রি হয়। একটি বড় চক্র এই হাঙর শিকারের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button