রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক, অতিথির রং লাল, কৌতূহল চাপতে পারছেনা শীতের দার্জিলিং
দার্জিলিং নামটা শুনলে বাংলার মানুষের মনটা কেমন যেন হুট করে পৌঁছে যায় হিমালয়ের কোলে। সেখানে এবার শীতের দিনে অন্য কৌতূহলে ফুটছেন সকলে।
দার্জিলিং মানেই তো হিমালয়। দার্জিলিং মানে ম্যাল। শীতের দার্জিলিং মানে আবার বরফের স্পর্শ। পরিস্কার আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য। সেই দার্জিলিংয়ে এখন অনেকেই অপেক্ষা করছেন শীতের দিনে একটু বরফের ছোঁয়া পাওয়ার আশায়। সে বরফ হয়তো আর পেয়েও যাবেন মানুষজন।
তবে তাঁরা আরও এক কৌতূহলে বুক বেঁধে বসে আছেন। অপেক্ষা ক্রমশ অধীর হয়ে পড়ছে। কারণ সাদা বরফের সঙ্গে ২ লাল অতিথি যে এই শৈল শহরে তাদের পা রাখতে চলেছে।
অবশ্যই তারা সেখানে পৌঁছনোর পরই তাদের সঙ্গে দার্জিলিংবাসী বা তখন উপস্থিত পর্যটকদের দেখা সাক্ষাৎ হবেনা। তার জন্য ৩টে মাস অপেক্ষা করতে হবে।
এই ৩টি মাস পরে তারা আসবে সকলের সামনে। সাক্ষাৎ হবে তাদের সঙ্গে। এই ২ অতিথি আসছে নেদারল্যান্ডস থেকে। কলকাতা হয়ে তারা হাজির হবে দার্জিলিং।
শৈল শহর দার্জিলিংয়ের একটি অন্য পরিচয়ও রয়েছে। পাহাড়ি এই শহরের চিড়িয়াখানা হল ভারতে লাল পান্ডাদের সমন্বয়কারী প্রকল্পের পুরোধা। ফলে এখানে লাল পান্ডাদের আনা হয়।
এমনই ২টি লাল পান্ডা এবার আসতে চলেছে এখানে। ৩ মাস তাদের এই পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে তারপর দর্শকদের সামনে আনা হবে।
ইতিমধ্যেই এই চিড়িয়াখানায় ২টি লাল পান্ডা আনা হয়েছিল গত বছরের অগাস্ট মাসে। সেই নীরা ও তিস্তার ২ সন্তান হয়েছে। এবার তাদের এই ৪ জনের পরিবারের সঙ্গে মিশে যেতে চলেছে আরও ২ লাল পান্ডা। যা অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড় পাওনা।