৫৫ দিন পর গ্রেফতার শেখ শাহজাহান, আনা হল কলকাতায়
ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে ৫৫ দিন পর গ্রেফতার করতে পারল পুলিশ। তাঁকে কলকাতার ভবানী ভবনে আনা হয়।
সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড হিসাবে উঠে আসে শেখ শাহজাহানের নাম। সন্দেশখালিতে কার্যত তাঁর নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। এমন এক ব্যক্তির দোর্দণ্ড প্রতাপ, এলাকা জুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের জমে থাকা প্রবল ক্ষোভ সবই এক এক করে সামনে আসতে থাকে।
তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছেনা সে নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালতও। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল পুলিশ নাকি দেখেও দেখছে না। কলকাতা হাইকোর্টও শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
অবশেষে ৫৫ দিন পর শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল পুলিশ। মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাঁকে লকআপে বন্দি না করে সরাসরি বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়।
সেখানে তাঁর ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত। শুনানি শেষ হতেই দ্রুত শাহজাহানকে নিয়ে বেরিয়ে পুলিশের একটি কনভয় কলকাতা রওনা দেয়। কলকাতার ভবানী ভবনে শাহজাহানকে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তাঁকে ১০ দিন ধরে জেরা করবে পুলিশ।
এদিন গ্রেফতারির পরও কিন্তু নিজের মেজাজেই ছিলেন শেখ শাহজাহান। যদিও মনে করা হচ্ছে পুলিশ যাতে স্থানীয়দের চাপ, সংবাদমাধ্যমের চাপ এড়িয়ে নিশ্চিন্তে শাহজাহানকে জেরা করতে পারে সেজন্যই তাঁকে কলকাতা আনা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে শাহজাহানকে পুলিশি হেফাজতে রেখে জেরার চেষ্টা হলে স্থানীয়দের প্রবল চাপও আসতে পারত।
প্রসঙ্গত গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডি আধিকারিকরা। সেখানে শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যে ঘটনায় ২ জন ইডি আধিকারিক আহত হন। তাঁদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
ওই ঘটনার পর ইডির ওপর হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ইডি আধিকারিকরা। সেই ঘটনার ৫৫ দিন পর গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান।