গোপন আস্তানা, নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল সুন্দরবনের ১৩টি প্রত্যন্ত দ্বীপ
সুন্দরবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দ্বীপ কম নেই। সেখানেই এখন নতুন আস্তানা। যা কার্যত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৩টা দ্বীপই প্রধান।
সুন্দরবন সম্বন্ধে সকলেরই কমবেশি ধারনা আছে। ঘন অরণ্য, চারধারে জল ও জলাভূমি, ম্যানগ্রোভ অরণ্য, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বললেই সুন্দরবনের ছবি সামনে ভেসে ওঠে। এখানে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে মানুষের পক্ষে স্থায়ীভাবে বসবাস করা অসম্ভব।
এমন সব দুর্গম ঘন জঙ্গলে ঘেরা ১৩টি প্রত্যন্ত দ্বীপ এখন কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারের নজরে পড়েছে। কারণ এখানেই গড়ে উঠছে গোপন আস্তানা। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গোপন আস্তানা। এই ১৩টি দ্বীপের মধ্যে মাত্র ১টি এমন দ্বীপ রয়েছে যেখানে বিএসএফ-এর ক্যাম্প রয়েছে।
এসবই অনুপ্রবেশকারীদের জানা। তারা তাই ১৩টি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত দ্বীপকে বেছে নিয়েছে লুকিয়ে থাকার জন্য। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর তথ্য অনুযায়ী এই ১৩টি দ্বীপ এতটাই দুর্গম যে সেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই।
তাই লুকিয়ে মৎস্যজীবী সেজে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারীরা এই দ্বীপগুলিতে প্রথমে আস্তানা তৈরি করছে। তারপর সেই আস্তানা থেকে ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। ততদিন তারা ওই দ্বীপে লুকিয়ে থাকছে যতদিন না তারা ভারতে থাকার মত প্রয়োজনীয় জাল নথি হাতে পাচ্ছে।
বিষয়টি সম্বন্ধে খবর কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারকে চিন্তায় ফেলেছে। এই দ্বীপগুলি সম্বন্ধে খবর পাওয়ার পর সেখানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের উদ্যোগও শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে লুকিয়ে ভারতে প্রবেশ নতুন সমস্যা নয়। তবে এভাবে সুন্দরবনের ১৩টি দ্বীপকে সেগুলির প্রত্যন্ত চরিত্রের জন্য কাজে লাগানো আগে সেভাবে নজর কাড়েনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা