অচেনা বেড়াল ফেলে অন্ধকারে পেঁপে বনে দৌড় দিল ৪ ছায়ামূর্তি
সন্ধে নামার পর অন্ধকারে ঢাকা ছিল চারধার। তারমধ্যেই বেড়াল ফেলে অন্ধকারেই পেঁপে বনে ছুট দিল ৪ মূর্তি। যে বেড়াল ফেলে গেল সেও কোনও সাধারণ বেড়াল নয়।
একে শীত। তায় আবার সন্ধে নামার পর চারধার অন্ধকারে ডুবে যায়। স্থান ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার এই সীমান্তে সদা প্রহরায় থাকে বিএসএফ। তারাই অতন্দ্র প্রহরায় ছিল।
সেই সময় সন্ধের অন্ধকারে তারা ৪ ছায়ামূর্তিকে দেখতে পায়। অন্ধকার ও আলতো কুয়াশার মধ্যে ৪ ব্যক্তি যে কোনও ভারী কিছু বইছে তাও পরিস্কার হয়ে যায় তাদের কাছে।
ভাট্টুপাড়া বর্ডার আউটপোস্টে থাকা ৫৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ জওয়ানদের বিষয়টি নজর কাড়তেই তাঁরা আশপাশের বিএসএফ জওয়ানদের সতর্ক করেন। ২ জন জওয়ান ওই ৪ জনের দিকে এগিয়ে যেতে তারা হাতে থাকা কাঠের বাক্সটি ফেলে পাশের পেঁপে বনে ঢুকে যায়। অন্ধকারের কারণে তাদের আর হদিশ পাওয়া যায়নি।
কাঠের বাক্সটি খুলে বিএসএফ জওয়ানরা দেখেন তারমধ্যে একটি বেড়াল রয়েছে। তবে সাধারণ বেড়াল নয়। ছিল একটি আফ্রিকান ওয়াইল্ড ক্যাট। সাব সাহারান দেশগুলিতে এদের বাস।
৫৪ থেকে ৬২ সেন্টিমিটার লম্বা এই বেড়ালগুলির ওজন হয় ১৮ কেজির মত। শিকার ধরতে মাটি থেকে ২ মিটার পর্যন্ত লাফ দেওয়ার ক্ষমতা ধরে এরা। শিকার ধরার জন্য এদের কাছে সকাল বা রাতের কোনও বাছবিচার নেই। যখন শিকার পায়, তখনই পাকড়াও করে।
এই বেড়াল ভারতে পাওয়া যায়না। এগুলি তাই বিদেশি বেড়াল। যা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়ার আগেই বিএসএফ তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করল। আপাতত তাকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।