State

গৃহস্থ পাড়ায় অস্ত্র কারখানার হদিস পেল পুলিশ

রাজ্যে বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিস পেল পুলিশ। একটি বসত বাড়িতে তৈরি এই অস্ত্র কারখানায় এদিন হানা দেয় পুলিশের একটি বিশেষ দল। উদ্ধার হয় ১০১টি আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়া প্রচুর কার্তুজ ও বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয় এই চক্রের বিক্রির কাজ যে সামলাত সেই মহম্মদ সেলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে কারখানার হদিস জোগাড় করে তারা। খবর পাওয়ার পর বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগর এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের দাবি, বাড়ির মালিক আফতাব হুসেনই এই অস্ত্র কারখানার মালিক। বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা আফতাব গত ২ মাস ধরে এখানে এই কাজ চালাচ্ছিল। বাজার থেকে মাল কিনে এনে এখানে তৈরি হত অস্ত্র। অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনও এখানে বসানো হয়েছিল। আফতাবই ছিল এসবের পাণ্ডা। অস্ত্র তৈরির জন্য মুঙ্গের থেকে ৩ জন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থেকে ১ জনকে নিয়ে এসে এখানে কর্মচারির কাজ করাত সে। অস্ত্র বিক্রির দিকটা অর্থাৎ মার্কেটিং দেখত মহম্মদ সেলিম। এদিন যে ১০১টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে ৯৫টি ওয়ান শটার পাইপগান রয়েছে। ৪টে সিঙ্গল ব্যারেল লং আর্ম বন্দুক ও ২টি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে ৯ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে তা কী ধরণের বিস্ফোরক তা পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, বিহার থেকে অস্ত্র আনতে গেলে অনেক সময় তা ধরা পড়ে যায়। তাই স্থানীয়ভাবেই অস্ত্র কারখানা গড়ে তোলা হয়েছিল। দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতার বন্দর এলাকায় এসব অস্ত্র বিক্রির করা হত বলে মনে করছে পুলিশ। এছাড়া পুলিশের অনুমান অন্য রাজ্যেও এই অস্ত্র পাচার করা হত। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানান হয়েছে।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button