অনেক চেষ্টা, আর্তনাদ, বাঁচার জন্য সজল আকুতি। তবু শেষ রক্ষা হলনা। বন্ধ দরজার পিছনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হল ১৩ বছরের এক কিশোর। সামান্য ক’টা টাকার লোভে এক তরতাজা কিশোরের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের জগন্নাথপুর এলাকা।
সূত্রের খবর, স্থানীয় একটি বাড়িতে লুকিয়ে বেআইনিভাবে চলত একটি বাজি কারখানা। সেই কারখানা পাহারা দেওয়ার জন্য রাহুল দাস নামে স্থানীয় এক কিশোরকে প্রলোভন দেখায় কারখানার মালিকের ছেলে। পাহারা দিলে সামান্য কিছু টাকা পাবে সে। সেই লোভে ১৩ বছরের ওই কিশোর পাহারায় রাজি হয়ে যায়। অভিযোগ রাহুলকে কারখানার ভিতর পাহারায় বসিয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায় সকলে। এদিকে ভিতরে স্তূপাকার বাজি ও বাজির মশলা। সেখানেই কোনওভাবে আগুন ধরে যায়। রাহুল বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করে। কিন্তু কাছেপিঠে কেউ না থাকায় সময়ে তাকে উদ্ধার সম্ভব হয়নি। বাইরে বার হওয়ার কোনও রাস্তা না পেয়ে বিফল আর্তনাদ করতে থাকে সে। অবশেষে তাকে গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। এমন এক ভয়ংকর মর্মান্তিক ঘটনার পর এলাকার মানুষ বেআইনি বাজি কারখানার রমরমার দিকেই আঙুল তুলেছেন। পুলিশ ওই কারখানার মালিক জুলফিকর আলিকে গ্রেফতার করেছে।