মিতা মণ্ডলের পর এবার মিতা হালদার নামে আরও এক গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু নিয়ে সরগরম রাজ্য। ক্যানিংয়ের ওই গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির তরফে দাবি করা হলেও তা মানতে নারাজ মিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে মিতাকে। মিতা যে মারা গিয়েছেন তা তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে ঠিক করে জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন মিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ক্যানিং হাসপাতালে গিয়ে মিতার মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মোবাইলও বন্ধ করে রাখে।
গত ১৬ অক্টোবর এই ঘটনার পর গত ১৮ অক্টোবর সালিশি সভা বসিয়ে স্থানীয় এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে মিটমাট করিয়ে নেওয়ার জন্য মিতার পরিবারকে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। মিটমাটের কাগজে তাঁদের দিয়ে সইও করিয়ে নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও পরে মিতার এই রহস্যমৃত্যুর শেষ দেখতে পুলিশের কাছে যাঁন তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মিতা হালদারের স্বামী রণজিৎ হালদার ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২০১৪ সালে মিতার সঙ্গে রণজিতের বিয়ে হয়। তাঁদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।