শনিবার যদিও বা দু-চারটে এটিএমে কিছু টাকার দেখা পেয়েছিলেন রাজ্যবাসী, রবিবার তাও মিলল না। রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএমের সামনে ভিড় জমালেও টাকা হাতে পেলেন না গ্রাহকরা। পৌঁছতে পারলেন না এটিএম মেশিনের ধারে কাছেও। কোথাও শাটার টেনে, কোথাও নো মানি লেখা ঝুলিয়ে আবার কোথাও বা এটিএমের সুরক্ষায় থাকা কর্মীদের মারফত জানিয়ে দেওয়া হল টাকা মিলবে না। ফলে বাধ্য হয়ে টাকার জন্য রবিবার সকাল থেকেই ব্যাঙ্কগুলির সামনে লাইনের বহর চোখ কপালে তুলেছে। ছুটির দিন হওয়ায় রবিবার প্রয়োজনীয় খরচের টাকার বন্দোবস্ত করে রাখতে চেয়েছেন অনেকেই। ফলে ছুটি মাঠে মারা গেছে। আয়েশ করে রবিবার উপভোগ ফেলে রোদ মাথায় করে লাইন দিয়েছেন শহরবাসী। কিছু মানুষ যদিও টাকা বদলাতে এলাকার ব্যাঙ্কের ভিড় এড়াতে অফিসপাড়ার শাখাগুলিতে পৌঁছে যান। ফলও হয়। অফিস পাড়া তুলনামূলকভাবে ছিল ফাঁকা। ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতেও তেমন লোকজন ছিলনা। ফলে কিছুটা ফাঁকায় নোট বদলাতে পেরেছেন অনেকেই। কিন্তু হয়রানি অব্যাহত। লম্বা লাইনে ঠায় দাঁড়িয়ে বিরক্ত সবাই।
যত দিন যাচ্ছে ততই কপালে চিন্তার ভাঁজ পুরু হচ্ছে। কারণ জমানো টাকার রসদ ফুরচ্ছে। অ্যাকাউন্টে টাকাও রয়েছে। অথচ হাত খালি। লম্বা লাইন দিয়ে কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছেও শান্তি নেই। মিলছে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম টাকা। ফলে ফের লাইন দেওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছ। যা প্রথম দিনের লাইনের পর গায়ে জ্বর আনছে আমজনতার। দুর্ভোগের মধ্যেই আবার অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন সামনের দু-তিন সপ্তাহের আগে এটিএমগুলি কার্যকরী অবস্থায় পৌঁছতে পারবেনা। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছেন ফাঁপরে। সোমবার আবার ব্যাঙ্ক বন্ধ। মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে অফিস। ফলে এভাবে ব্যাঙ্কে লাইন দেওয়ার সময় কোথায়। সেই চিন্তাও মানুষের স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।