সোমবার গুরুনানকের জন্মদিবস। ফলে সারা দেশে সরকারি দফতরে ছুটি। ছুটি বহু বেসরকারি সংস্থাতেও। এককথায় ছুটির দিন। কিন্তু সেই ছুটির সকালকে উপভোগ করার সুযোগ পেলেননা অনেকে। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেও হাত শূন্য। এমন হাঁড়ির হাল কবে শেষবার দেখেছেন তাও অনেকের মনে পড়ছে না। চাইলে জিনিস কিনতেও পাঁচবার ভাবতে হচ্ছে। কেননা যেটুকু টাকা হাতে রয়েছে তা আপৎকালীন প্রয়োজনের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে চাইছেন দেশের আমজনতা।
সোমবার সকালেও এটিএম দুর্দশার চেহারা বদলাল না। এটিএমে টাকা নেই। রাজ্যের ৯০ শতাংশ এটিএম অর্থশূন্য। হাতে গোনা যে কটি এটিএমে টাকা রয়েছে তাও ভরতে না ভরতেই ফুরুত! খরার ফাটা মাটিতে ওই বিন্দু জল চোখের নিমেষে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে। ফলে পকেট খালিকে খালিই পড়ে থাকছে। এদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় একমাত্র ভরসা এটিএম। প্লাস্টিক মানির কথা বলা হলেও আলু, পটল, মাছ, মাংসের দোকান তো কার্ডে টাকা নেবে না! তারা কাগজি নোট চাইছে। তাও নতুন। যাও বা কয়েকজনের হাতে ২ হাজারি নোট এসেছে, তাঁদেরও স্বস্তি নেই। অত বড় নোট ভাঙানি দিচ্ছে না দোকানগুলো। ২০০-৩০০ টাকা জিনিস কিনে ২০০০ টাকার ভাঙানি সম্ভব নয় বলেই সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন অসহায় বিক্রেতারা। অসহায় ক্রেতাও। তাঁদেরও এ ছাড়া উপায় নেই। ফলে হয় ধারে নয়তো বা জিনিস দোকানেই রেখে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। সকলেরই মুখে একই প্রশ্ন এভাবে আর কদ্দিন? জমানো রসদ তো ফুরনোর পথে! তারপর!