প্রথমে বাবা-মাকে জানানো হত মৃত সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারপর সেই সদ্যোজাতদের ১টি বিস্কুটের বাক্সে ভরা হত। এবার সেই বাক্স তুলে দেওয়া হত সুবোধ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট নামে একটি এনজিও-র হাতে। এনজিও সেই সদ্যোজাতদের দিল্লি পাঠাত। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হত শিশুরা। পুরুষ সন্তান পিছু ২ লক্ষ টাকা ও কন্যা সন্তান পিছু ১ লক্ষ টাকাতে বিক্রি হত শিশুরা। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন সিআইডির ডিআইজি ভরতলাল মীনা। শেষ ১ বছরে বাদুড়িয়ার নার্সিং হোম থেকে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০টি শিশু এভাবে পাচার হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
গত সোমবার বাদুড়িয়ার ১টি নার্সিং হোম থেকে ৩টি সদ্যোজাতকে ১টি বিস্কুটের বাক্স থেকে উদ্ধার করে সিআইডি-র ১টি দল। তারপরই তদন্তে তাঁরা সব জানতে পারেন। ইতিমধ্যেই এই শিশুপাচার চক্রে জড়িত অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছ পুলিশ। যারমধ্যে ২ মহিলা, ২ হাতুড়ে চিকিৎসক, নার্সিং হোমের ২ মালিক, ১ কর্মচারি ও এনজিও কর্ণধার সত্যজিৎ সিনহা রয়েছে। এছাড়া সিআইডির দাবি, এই চক্রে আরও ২ চিকিৎসকের খোঁজ তারা পেয়েছেন। এরমধ্যে ১ জন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক। অন্যজন বনগাঁর চিকিৎসক। ২ জনকেই দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে এদিন আশ্বস্ত করেছেন মীনা।