
রাজ্যে শিশু পাচার চক্র যে যথেষ্ট সক্রিয় তা ক্রমশ টের পাচ্ছেন সিআইডি আধিকারিকরা। এবার সেই পাচার কাণ্ডে আরও এক ভয়ংকর তথ্য তাঁদের হাতে এল। তদন্তে নেমে মছলন্দপুরের একটি এনজিওতে হানা দিয়েছিল সিআইডি। পড়াশোনা করানোর নামে সেখানে নানা অবৈধ কাণ্ডকারখানা চলত বলে জানতে পারেন তাঁরা। তারপরই গত বুধবার সুজিত দত্ত মেমোরিয়ালের অফিস সিল করে দেয় সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় সেখানকার প্রধান পলি দাস নামে এক মহিলাকে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সিআইডি শুক্রবার মছলন্দপুরের রাঘবপুরের ওই এনজিও-র পিছনের বাঁশ বাগানে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। মাটি খুঁড়ে ২টি শিশুর কঙ্কাল উদ্ধার হয়।
সিআইডি আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান পাচারের সময় কোনও শিশু মারা গেলে তাকে এভাবেই মাটিতে পুঁতে ফেলা হত। আরও শিশুর দেহ এভাবে মিলতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। এদিকে বাসন্তী নামে শিশু পাচার চক্রের এক পাণ্ডাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিআইডি। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে রাজ্যে জালের মত ছড়িয়ে পড়া এই শিশু পাচার চক্রের অনেক তথ্যই তাঁদের হাতে আসবে বলে মনে করছেন সিআইডি আধিকারিকরা।