বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধের প্রভাব পড়ল না রাজ্যে। টুকটাক কয়েকটি ঘটনা বাদ দিলে জনজীবন সকাল থেকেই স্বাভাবিক। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। স্বাভাবিক নিত্যযাত্রীদের ভিড়। নিয়ম মেনেই চলাচল করছে ফেরি। রাস্তায় বাস, ট্যাক্সি অন্যান্য দিনের মতই চোখে পড়ছে। অফিসযাত্রীদের ভিড়ও অন্যান্য দিনের মতই। বিমানবন্দরেও মানুষের আসা যাওয়ায় কোনও সমস্যা হয়নি। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ বন্ধের সমর্থনে বাম সমর্থকেরা লেকটাউন ও যশোর রোডের সংযোগস্থলে অবরোধ করেন। পুলিশ অবরোধ হঠাতে এলে ধর্মঘটীদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ঘটনায় সিপিএম নেতা পলাশ দাস সহ ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। এরপর অবরোধ উঠে গেলেও বাম কর্মী সমর্থকেরা লেকটাউন থানায় সামনে বিক্ষোভে সামিল হন। তাঁদের দাবি, মহিলা পুলিশ ছাড়াই অবরোধ তুলতে এসে তাঁদের মহিলা কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করেছে পুরুষ পুলিশ। বেলা ১১টা নাগাদ আটক ৭ জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এদিন সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে যাদবপুরে বিশাল মিছিল বার করে বামেরা। এদিকে কলকাতা স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি রাজ্যেও বন্ধের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। পুরুলিয়ার আদ্রা ও মেদিনীপুর শহরে বন্ধের প্রতিবাদে বাইক মিছিল বার করে তৃণমূল। সব দোকানপাট খোলা রাখার আহ্বান জানান তারা। এদিকে বন্ধের দিন অটো বন্ধ রাখলে আগামী একমাস অটো চালাতে দেওয়া হবে না বলে তৃণমূলের ফতোয়ার জেরে ক্যানিং-বারুইপুর রুটে সকালে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যদিও এটা তাদের কাজ নয় বলেই দাবি করেছে তৃণমূল কর্মী সংগঠন। বন্ধের সামান্য প্রভাব পড়েছে বীরভূমের সিউড়ি, রামপুরহাটে। ২ জায়গাতেই এদিন সকাল থেকে কোনও বাস পথে নামেনি। ফলে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এদিকে উত্তরে চা-বাগানগুলিতে এদিন বন্ধের কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। সকাল থেকেই কাজকর্ম ছিল স্বাভাবিক।