কল্যাণী-ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উদ্ধার হল এক আইনের ছাত্রীর দেহ। তাঁর মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মৌমিতা বিশ্বাস নামে ওই ছাত্রীর স্বামী নিখিল সেন ও মৌমিতার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাসুদেব দাস নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে মৌমিতার বিয়ে হয়। খড়দহের মেয়ে মৌমিতার বাবা একজন পুলিশ কনস্টেবল। মৌমিতা ভালবেসেই বিয়ে করেন পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী নিখিল সেনকে। কিন্তু টিটাগড়ে শ্বশুরবাড়িতে বেশ কিছুদিন কাটার পর থেকেই মৌমিতার অন্য পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁর অশান্তিও হত। কিন্তু তাতে মৌমিতা নাকি মেলামেশা কমাননি। বরং তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তাঁদের দাম্পত্য জীবনে দ্রুত দূরত্ব তৈরি করে দেয়। গত মে মাসে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন মৌমিতা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।