বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে স্বামীকে গলা কেটে খুনের চেষ্টা করল স্ত্রী। এ কাজে পাশে পেল বান্ধবীকেও। স্ত্রী ও বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আহত স্বামী। তাক লাগিয়ে দেওয়ার মত ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের কালনায়। সূত্রের খবর, গত বছরই বিয়ে হয়েছিল চিরঞ্জিত পাল ও দীপা পণ্ডিতের। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হলেও আনুষ্ঠানিক বিয়ে ছিল এদিন। মঙ্গলবার কালনার সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল দীপা ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নাসিমা খাতুন। পুলিশ সূত্রের খবর, পরিকল্পনামত চিরঞ্জিত পালকে বিয়ের আগের দিন বাড়ির সামনের ফাঁকা মাঠে ডেকে পাঠায় দীপা। চিরঞ্জিত এলে তাঁর চোখে খেলার ছলে রুমাল বেঁধে দেয় সে। তারপর চোখ বাঁধা চিরঞ্জিতের গলায় কাটারির কোপ বসিয়ে দেয় নাসিমা। দ্বিতীয় কোপ মারার জন্য উদ্ধত হলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। প্রবল যন্ত্রণা নিয়েও নিজেকে বাঁচিয়ে তার হাত থেকে কাটারি কেড়ে নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন চিরঞ্জিত। চিৎকার করে ওঠেন যন্ত্রণায়। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের লোকজন হাজির হয়ে যান। চিরঞ্জিতকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রেফতার করা হয় দীপা ও নাসিমাকে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় দীপা স্বীকার করেছে নাসিমার সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক ছিল। সে সম্পর্ক বিয়ে হয়ে গেছে বলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেই সম্ভাবনা যাতে তৈরি না হয় সেজন্য স্বামীকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা। কালনা আদালতে তোলা হলে ধৃত দুজনকেই ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।