খড়গপুরে রক্তাক্ত তৃণমূলের পার্টি অফিস। তাও আবার দিনেদুপুরে। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে শ্রীনু নাইডু নামে এক যুবকের। খড়গপুরে শ্রীনু নাইডু ‘ডন’ বলেই বেশি পরিচিত। শ্রীনুর সঙ্গেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েগেছে ধর্মা রাও নামে আর এক বছর ২৫-এর যুবক।
স্থানীয়দের দাবি, বুধবার বিভিন্ন কাজ সেরে দুপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে এসে বসে শ্রীনু। সঙ্গে ছিল আরও ৪ জন। এমন সময়ে একটি মারুতি ভ্যান পার্টি অফিসের সামনে এসে দাঁড়ায়। ভ্যান থেকে জনা তিনেক দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে নেমে বোমা ছোঁড়ে। বোমা ছোঁড়া হয় পার্টি অফিসের দরজায়। মোট ৪টি বোমা মারে তারা। তারপর ঢুকে পড়ে পার্টি অফিসে। সামনে শ্রীনুকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছোঁড়া হয়। অন্যরা বাধা দিতে এলে তাদেরও গুলি করা হয়। শ্রীনুর মাথায় ও বুকে গুলি লাগে। একইভাবে গুলি লাগে অন্যদের।
স্থানীয়দের দাবি, লক্ষ্য ছিল শ্রীনুই। এভাবে গুলি চালানোর পর ফের বাইরে এসে ওই মারুতি ভ্যানেই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরই আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রীনু ও ধর্মাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে হাসপাতালে পৌঁছনোর পরই চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন ২ জনেরই ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১ জন মেদিনীপুর হাসপাতালে ও ২ জন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছে।
এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। নাম না করে তৃণমূলের ইঙ্গিত খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষের দিকে। যদিও বিজেপির দাবি, রাজ্যটাই দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি এখন বাংলাদেশে।