খড়গপুরের তথাকথিত ডন শ্রীনু নাইডু ও তার ছায়াসঙ্গী ধর্মাকে হত্যার পর বৃহস্পতিবার সকালেও মালঞ্চ রোড এলাকা থমথম করছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হত্যাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজ। এদিকে বুধবার শ্রীনু নাইডু হত্যার পর এই হত্যাকাণ্ডে বিজেপির হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছিল তৃণমূল। যদিও স্থানীয় মানুষজন অন্য কথাই বলছেন। তাঁদের অধিকাংশের অনুমান, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন হতে হয়েছে শ্রীনুকে। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শ্রীনুকে যাঁরা হত্যা করে তারা তার পূর্ব পরিচিত। ফলে মুখ ঢেকে তারা ভেতরে ঢোকে। যাতে তাদের কেউ চিনতে না পারে। তারপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে পালায় তারা। তদন্ত চালালেও এখনও একজনকেও গ্রেফতার করেত পারেনি পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে সঙ্গিসাথীদের নিয়ে বসেছিল খড়গপুরের কুখ্যাত ডন শ্রীনিবাস নাইডু ওরফে শ্রীনু নাইডু। রেল মাফিয়া হিসাবে সে পরিচিত ছিল এলাকায়। তার স্ত্রী পূজা নাইডু এলাকার কাউন্সিলর। তিনি তখন পার্টি অফিসে না থাকলেও বছর ২৭-এর তেলেগু যুবক শ্রীনু দুপুরেই পার্টি অফিসে ঢোকে। সঙ্গে ছিল ৪ জন। যারমধ্যে তার ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত ধর্মা রাও-ও ছিল। এমন সময় মারুতি ভ্যানে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে হাজির হয় পার্টি অফিসের দরজায়। ভ্যান থেকে নেমে কয়েকজন বোমা ছুঁড়ে এলাকা ফাঁকা করে দেয়। তারপর পার্টি অফিসে ঢুকে শ্রীনুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। অন্যরা বাধা দিতে এলে তাদেরও গুলি করে দুষ্কৃতীরা। মাথা ও বুকে গুলি লাগা অবস্থায় শ্রীনু ও ধর্মা রাওকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাকি তিনজনের ২ জন এসএসকেএম-এ ভর্তি। অন্যজন মেদিনীপুর হাসপাতালে।