শ্রীনু নাইডু খুনের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের জামশেদপুর ও ঘাটাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪ জন এখনও অধরা। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানান, গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করেছিল শংকর রাও। এটা পুরনো শত্রুতার জের বলেই মনে করছে পুলিশ। একসময়ে এই শংকর রাওয়ের ওপর হামলা চালায় শ্রীনু। সেই শত্রুতার জেরে শংকর রাও এর আগেও শ্রীনুকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়। এবার জামশেদপুর থেকে ভাড়াটে খুনি নিয়ে আসা হয়। শ্রীনুকে হত্যার ছক কষতে প্রথম বৈঠক হয় জামশেদপুরেই। পরের দুটি বৈঠক হয় খড়গপুরে। খুনের দিন সকালেই কলকাতা থেকে খড়গপুর ফেরে শ্রীনু নাইডু। তারপর ধর্মা রাও সহ বেশ কয়েকজন সাগরেদকে নিয়ে খড়গপুরের কয়েকটি জায়গায় নিজের কাজে ঘোরে। এদিকে খড়গপুরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই আততায়ীদের খবর দেয় একজন। ফলে শ্রীনু যেখানেই যায় সেখানেই আততায়ীরা তাকে অনুসরণ করে। তারপর তৃণমূল পার্টি অফিসে এসে বসার পর একটি ভ্যানে ৮ জন ও মোটরবাইকে ৩ জন এসে শ্রীনু ও তার সাগরেদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের দাবি, শংকর রাও এই হত্যাকাণ্ডের ছক কষলেও তার ওপর অন্য বড় মাথা আছে। তার খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।