বাখরাহাট কাণ্ডের দুদিনের মাথায় ঘাতক গাড়ির চালক শেখ কালুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে গত সোম ও মঙ্গলবারের পর বুধবারও উত্তপ্ত ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসপুঞ্জ এলাকা। উত্তেজিত জনতা এদিন গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি একটি পুলিশ ফাঁড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। রাস্তার ওপর ফেলে জ্বালানো হয় একের পর এক বাইক। তাঁদের অভিযোগ শেখ কালু সহ বেশ কয়েকজন যুবক প্রায়শই এই এলাকায় গাড়ি বা বাইক নিয়ে স্টান্ট দেখাত। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে স্থানীয় লোকজনকে অতিষ্ঠ করত। স্থানীয় একটি মেয়েদের স্কুলের সামনে ছাত্রীদের বিরক্ত করা ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ। কিন্তু পুলিশ সব জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না! এনিয়ে রাগে ফুঁসছিলেন সকলেই। সোমবার বেপরোয়াভাবে স্করপিও চালানোর সময় শেখ কালু ধাক্কা মারে স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক ও ছাত্রকে। সেই ঘটনায় এক ছাত্র ও তার অভিভাবকের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছিল বাখরাহাট এলাকা। এদিন শেখ কালুকে গ্রেফতার করায় সেই ক্ষোভ কিছুটা হলেও কমেছে। তাকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।