স্কুলের জমিতে বেআইনি নির্মাণকে ঘিরে হয়েছিল বিতর্কের সূত্রপাত। তাও গত শুক্রবার। যা আলোচনার মধ্যে দিয়ে নিষ্পত্তিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শনিবার সকালে ফের উন্মত্ত জনতা আচমকা থানা আক্রমণ করে। এমন হঠাৎ করে শয়ে শয়ে মানুষের হামলায় হতভম্ব হয়ে যায় আউশগ্রাম থানার পুলিশ। থানায় ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে জনতা। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি, বাইক। বাইরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নথি, ফাইল। তছনছ করে দেওয়া হয় থানার প্রতিটি ঘর, জিম। থানার একটি ঘরে অগ্নিসংযোগও করা হয়। উন্মত্ত জনতার আক্রোশের হাত থেকে রেহাই পায়নি থানার পাশে পুলিশদের কোয়ার্টার। শুধু থানাই নয়, সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকেও জনতার হাতে মার খেতে হয়। আতঙ্কে পুলিশকর্মীরা যে যেখানে পারেন লুকিয়ে পড়েন। থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরকে ঘটনার পর তছনছ হয়ে যাওয়া থানায় বসে আতঙ্কে কাঁদতেও দেখা যায়। থানায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দ্রুত আউশগ্রামে হাজির হন বর্ধমানের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ পুলিশের বড়কর্তারা। দুপুরে অবস্থা শান্ত করে প্রশাসনের তরফে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠকেও বসা হয়। এদিকে নবান্নের তরফে অবস্থার স্থানীয়ভাবে সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সন্ধের পর আউশগ্রামের আইসিকে মালদহে বদলি করা হয়।