স্নান করতে যাওয়ার সময় দেড় মাসের মেয়েকে একটু দেখতে বলে গিয়েছিলেন মা যমুনা। বলে গিয়েছিলেন স্বামী শিবু সামন্তকে। বলেছিলেন, মেয়ে কাঁদলেই যেন তাঁকে জানান শিবু। কিন্তু স্নান সেরে বেরিয়ে যমুনা দেখেন শিশুটি বমি করছে। স্বামী বেপাত্তা। জন্মের পর থেকেই কন্যা সন্তান নিয়ে শিবু খুশি ছিল না। ফলে সন্দেহ হয় যমুনার। বমির গন্ধে তাঁর মনে হয় শিশুটিকে কোনও বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। এদিকে ফোন করেও স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অবশেষে চিকিৎসকদের দিয়ে স্বামীকে ফোন করান তিনি। পুলিশের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও দায়ের করেন। পরে স্বামী ফিরলে তাকে ধরিয়েও দেন তিনি। শিশুটি বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এখন অনেকটা সুস্থ। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির ডেবরা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শিবু সামন্তর প্রথম পক্ষের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ঠিক কী কারণে সে সদ্যোজাত কন্যাকে খুনের চেষ্টা করল বা আদৌ খুনের চেষ্টা করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।