গো বলয়ে এটা নতুন কথা নয়। পঞ্জাব, হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েতও এক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত। সেই প্রবণতা কী এবার পশ্চিমবঙ্গেও প্রভাব বিস্তার শুরু করল? প্রশ্নটা উঠছে। ওঠার মূলে রিষড়ার তরুণী নিতু সিংয়ের হত্যাকাণ্ড। এদিন ভোররাতে একটি গুলির শব্দ পান নিতুর বাবা উমেশ সিং। দ্রুত দোতলা থেকে নেমে আসতে গিয়ে একঝলক দেখেন তাঁর ছোট ছেলে অমিত দরজা খুলে পালাচ্ছে। নিচে নেমে মেয়ের ঘরে গিয়ে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। মেয়ে নিতুর মাথায় গুলির চিহ্ন। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। উমেশ সিং নিজেই ছেলের সম্বন্ধে পুলিশকে সবকিছু জানান। তবে অমিতই নিতুকে গুলি করছে এটা তিনি দেখেননি বলে জানিয়েছেন ৫ ছেলেমেয়ের বাবা ব্যবসায়ী উমেশ সিং। তাঁর ২ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মেয়ে নিতু পড়াশোনা শেষ করে একটি স্কুলে পড়াতেন। অমিত ছিল ছোট ছেলে। সে স্কুলেই পড়াশোনার পাট চুকিয়ে দিয়েছিল। ব্যবসায় মন ছিলনা। পুলিশের অনুমান পারিবারিক বিবাদের জেরেই অমিত দিদিকে খুন করে পালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি একটু অন্যরকম। তাঁদের দাবি, বছর ২৪-এর নিতুর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। যা সিং পরিবারের নাপসন্দ ছিল। অমিত দিদির সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ক মানতে পারত না। এ নিয়ে দিদির সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার ঝগড়াও হয়। ফলে এক্ষেত্রে অনার কিলিংয়ের তত্ত্বও উঠে আসছে স্বাভাবিকভাবেই। তবে এখনও পুরো বিষয়টা পরিস্কার নয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।