গত বুধবারই বাঁকুড়া আদালতে মঞ্জুর হয়েছিল তার গোপন জবানবন্দি দেওয়ার আবেদন। সেইমত বৃহস্পতিবার তৃতীয় বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় উদয়ন দাস। তার আগে তাকে সারারাত ও সকালে নিয়ম মেনে আলাদা ঘরে রাখা হয়। সেখানে রাতে ৬টি রুটি, ডাল ও আলু-ফুলকপির তরকারি খেয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে মুড়ি, গুড় খায়। দুপুরে সবজি দিয়ে ভাত খেয়ে যায় গোপন জবানবন্দি দিতে। জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর তাকে আদালতে নিয়ে আসা হলে বিচারকের করা প্রশ্নের উত্তরে সে ফের জানায় আকাঙ্ক্ষাকে সেই খুন করেছে। একথা সে আগেই বলেছে। তার আর নতুন কিছু বলার নেই। এদিকে উদয়নকে ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়ার জন্য রায়পুর পুলিশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল গত বুধবারই। শর্ত ছিল গোপন জবানবন্দি শেষ হলেই তাকে হাতে পাবে রায়পুর পুলিশ। সেইমত উদয়ন দাসকে রায়পুর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রায়পুরে সে তার বাবা-মাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেয়। সেই বিষয়ে তদন্ত করতেই তাকে রিমান্ডে নেওয়া। তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রুজু রয়েছে সেখানে।