মর্মান্তিক বললেও কম বলা হয়। এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মেরে তাঁর সন্তানকে গর্ভে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়ায়। এখানে একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রচণ্ড জোরে মাইক চালানো হচ্ছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সামনেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এই অবস্থায় মাইকের আওয়াজে পড়াশোনা করতে অসুবিধা হওয়ায় প্রতিবাদ করে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলা ২ ছাত্র। অভিযোগ এই প্রতিবাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে বিজেপি পরিচালিত সাধনপাড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পলাশ বিশ্বাস সঙ্গিদের নিয়ে এসে ওই ২ ছাত্রের ওপর চড়াও হয়। এভাবে প্রতিবাদের মাশুল দিতে ২ ছাত্রকে মারধরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। অভিযোগ তাতে ক্ষুব্ধ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পলাশ বিশ্বাস ওই মহিলার পেটে লাথি মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কৃষ্ণনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা জানান গর্ভস্থ সন্তানের গর্ভেই মৃত্যু হয়েছে। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই বেপরোয়া গুণ্ডাগিরির শিকার হতে হলে এক নতুন জীবনকে। হারিয়ে গেল মা-বাবার স্বপ্ন। ঘটনায় পলাশ বিশ্বাস ও তার এক সঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।