পায়েসের বাটি তখনও শেষ হয়নি। হঠাৎ ফোন আসে এক বান্ধবীর। সময় নষ্ট না করে বন্ধু সুরজিতের সঙ্গে বেরিয়ে যায় শ্রীরামপুরের যুবক সায়র কর। এরপর সারাদিন বেপাত্তা থাকার পর রাতে কোন্নগর ও রিষড়া স্টেশনের মাঝে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় বছর ২২-এর ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সায়রের নিথর দেহ। ওইদিন ছিল সায়রের জন্মদিন। জন্মদিনে মায়ের করা পায়েস খেতে খেতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। গত বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় সুরজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু সুরজিৎ কিছুই জানেনা বলে দাবি করেছে। সোমবার সায়রের অন্য বন্ধু বিশাল বৈঠককেও জিআরপি জিজ্ঞাসাবাদ করে। সূত্রের খবর, সায়রের দুই পরম বন্ধুর কাছ থেকে এমন কিছু পুলিশ জানতে পারেনি যা থেকে রহস্যভেদ হতে পারে। ফলে এখনও সায়রের মৃত্যু রহস্যের অন্ধকারেই। কিভাবে মৃত্যু হল তা পরিস্কার নয় কারও কাছেই। তবে সায়রের পরিবার তার বন্ধুদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে।