দোহারের প্রতিষ্ঠাতা কালীকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে দুর্ঘটনার পর থেকেই। এদিন সেই তদন্তে নতুন তত্ত্ব যোগ করলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক অর্ণব দাম। তাঁর দাবি, তিনি ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁর গাড়িকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে একটি বিশাল লরি। ওভারটেক করার সময় ওই লরির শেষ অংশ কালীকাপ্রসাদের গাড়ির সামনের অংশে ধাক্কা মেরে এগিয়ে যায়। ধাক্কা সামলাতে না পেরে গাড়ি ধাক্কা মারে রাস্তার ধারের গার্ডরেলে। তারপর কালভার্টে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় পাশের নয়ানজুলিতে। জলে পড়ার পর অর্ণব বেরিয়ে আসতে পারলেও অন্যরা পারেননি। কালীকাপ্রসাদের তখনও দেহে প্রাণ ছিল বলেই দাবি চালক অর্ণবের। বাঁচানোর জন্য কালীকাপ্রসাদকে তিনি পাম্পও করেন বলে দাবি অর্ণবের। এদিকে অর্ণব দাম এমন দাবি করলেও দুর্ঘটনায় কোনও লরির ধাক্কার তত্ত্ব মানতে নারাজ পুলিশ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা। সূত্রের খবর, পুলিশের অনুমান চালকের কোনওভাবে চোখ লেগে গিয়েছিল। ফলে গাড়ি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে যখন গার্ড রেলে ঘষটাচ্ছে তখনও চালক একবারের জন্য ব্রেক কষেননি। গাড়ির গতিও প্রবল ছিল বলেই মনে করছেন তাঁরা। আরও একটি ধারণাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেনা পুলিশ। পুলিশের অনুমান, কালীকাপ্রসাদের গাড়ির চালক গাড়ির গতি প্রায় ১০০ কিলোমিটারে নিয়ে গিয়ে রাস্তার ধার দিয়ে কোনও লরিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল। সেই সময়েই লরিটি চেপে আসায় ধাক্কা খায় গাড়িটি। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত চলছে।