এমন নাকি প্রায়ই করেন তিনি। মদ্যপান করেই স্কুলে আসেন। ক্লাসও নেন। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও সামলান। শিক্ষক, পড়ুয়াদের কটু কথাও বলেন। কিন্তু হেডস্যারের বিরুদ্ধে এতদিন কেউ মুখ খোলার সাহস পাননি। সোমবার সকালে সেই প্রধান শিক্ষককে পড়ে থাকতে দেখা গেল স্কুলের সামনের নিচু ঘাসজমিতে। অতিরিক্ত মদ্যপানে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও লোপ পেয়েছে। কথা বলছেন বটে। তবে নেহাতই জড়িয়ে। কিন্তু তখনও যে দুচারটি কথা তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে তাতে সংকোচ তো নেইই, বরং একটা বেপরোয়াভাব বেশ প্রকট। সোমবার সকালে হেড স্যারের এমন কাণ্ডে হৈহৈ পড়ে গেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার পোক্তাপুল গ্রামে। এখানে পোক্তাপুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত যুগল কিশোর দলুই। এদিন যুগল কিশোরবাবুকে মত্ত অবস্থায় স্কুলের সামনে পড়ে থাকতে দেখে ভিড় জমায় স্কুল পড়ুয়ারা। হাজির হন গ্রামবাসীরাও। হেডস্যারের কাণ্ড দেখে মুখ টিপে হাসাহাসিও শুরু হয়। কিন্তু তাতেও কুছ পরোয়া নেই যুগল কিশোর দলুইয়ের। বরং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানালেন তিনি মদ খেয়েছেন। মদ্যপ অবস্থাতেই স্কুলে এসেছেন। সইও করেছেন। স্বীকার করেছেন এভাবে মদ্যপান করে এর আগেও স্কুলে এসেছেন। ক্লাসও নিয়েছেন। কোনও অসুবিধা হয়নি। যদিও পুরো সময়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে উঠতে পারেননি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পুরো ঘটনার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।