বীরভূমের সিউড়িতে রামনবমীর মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে এদিন পথে নামল বিজেপি। সিউড়িতে বিশাল মিছিল করে তারা। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে।
রাজ্যে দুষ্কৃতি দৌরাত্ম্য রুখতে প্রয়োজনে হাতে বন্দুক তুলে নিতেও আপত্তি নেই বলে সদর্পে ঘোষণা করেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলই দুষ্কৃতিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। পরে মাখড়া ও চৌমণ্ডলপুরে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর দাবিতে থানাতেও স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিকে বিজেপির মিছিলে যোগ দিতে আসার সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাস আটকে তাদের মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি। পাল্টা আমোদপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল। সব মিলিয়ে বীরভূমে কিন্তু তৃণমূল-বিজেপি কাজিয়া তুঙ্গে।
এদিকে এরমধ্যেই এদিন লাভপুরে বালি খাদান নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে ৯ জন নয় আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে মিছিল করে সিপিএম। তাদের দাবি তৃণমূল দেহ লোপাট করেছে।
এদিন এমনই অভিযোগকে সামনে রেখে লাভপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে লাভপুর থানা পর্যন্ত বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মিছিল করে সিপিএম।