২০১৩ সালে যখন বিয়ে হয় তখন থেকেই পণের জন্য অত্যাচার চলত। অভিযোগ, চাহিদামত পণ দিয়েও রেহাই মেলেনি। মেয়ের ওপর অত্যাচারের ভয়ে বাবা ও ভাই মিলে নিয়মিত টাকাও দিতেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হলনা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এক মহিলার দেহ ঘিরে তৈরি হল চাঞ্চল্য। জলপাইগুড়ির মিলনপল্লির বাসিন্দা ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর আসে তাঁর বাপের বাড়িতে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে বাবা-দাদা হাজির হয়ে দেখেন মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বার হচ্ছে। পড়ে আছে মেয়ের নিথর দেহ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি ওই মহিলা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে সেকথা মানতে নারাজ মৃতার পরিবার। পুলিশের কাছে ৫ জনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। অভিযোগক্রমে স্বামী ও এক প্রতিবেশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতার ননদ, শাশুড়ি ও দেওর বেপাত্তা। তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে।