দার্জিলিংয়ে রাজভবনে প্রশাসনিক বৈঠক সবে শেষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ের জন্য বেশ কিছু ঘোষণাও করেছেন। ঠিক সেই সময়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কিছু সমর্থক রাজভবনের কিছুটা দূরে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করছিলেন। পুলিশ ছিল। অভিযোগ মেঘলা পাহাড়ে আচমকাই মোর্চা সমর্থকদের তরফ থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ করে। পাল্টা পুলিশও লাঠিচার্জ করে। মোর্চা সমর্থকরা পিছু হঠেন। কিন্তু তারপর পরই পাল্টা আঘাত। আর তা ছিল ভয়ংকর। অনেকটা গেরিলা আক্রমণের ধাঁচে শুরু হয় পুলিশের ওপর আক্রমণ।
জিমখানা স্টেডিয়াম ও মহাকাল মন্দিরের মত উঁচু জায়গাগুলো দখল করেন মোর্চা সমর্থকেরা ওপর থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইট ও কাচের বোতল বৃষ্টি শুরু করেন তাঁরা। এভাবে ওপর থেকে উড়ে আসা ইট-বোতলে দিশেহারা হয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা। রাস্তার অন্যপ্রান্তেও তখন মোর্চা সমর্থকদের ভিড়। শুরু হয় মোর্চা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ। যেখানে কার্যত পুলিশই ব্যাকফুটে চলে যায়। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। পাল্টা আঘাত হিসাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। মোর্চা সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করা হয়। যদিও তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। বরং ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে।
খান ছয়েক পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন মোর্চা সমর্থকেরা। অগ্নিসংযোগ করা হয় বাসেও। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। অবস্থা ক্রমশ হাতের বাইরে যেতে থাকায় রাজভবনেই তড়িঘড়ি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ বোঝা যাচ্ছিল যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে তাতে পুলিশ খুব একটা কিছু করে উঠতে পারবে না। ফলে ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত সেনা তলব করে রাজ্য সরকার। সন্ধের আগে যদিও কিছুটা শান্ত হয় পরিস্থিতি। কিন্তু তা ফের উত্তপ্ত হতে কতক্ষণ।