State

উত্তাল পাহাড়ে মহা ফাঁপরে পর্যটককুল

দার্জিলিংয়ে এখন পর্যটকদের মরসুম। গরমকালে ভিড়ে ঠাসা থাকে রাজ্যের এই শৈলশহর। আর সেই ভিড় হাসি ফোটায় এখানকার বাসিন্দাদের মুখে। কারণ এই শৈলশহরের অর্থনীতির ভিতটাই দাঁড়িয়ে আছে পর্যটনের ওপর। এবার গরম আর স্কুল ছুটির জেরে ভিড়ও হয়েছিল বেশ। দার্জিলিং থিকথিক করছিল পর্যটকে। সেই পর্যটকরাই এদিনের তাণ্ডবের পর পালাতে পারলে বাঁচেন। পরিবার নিয়ে এখন তাঁদের একটাই চিন্তা কতক্ষণে নেমে আসবেন এই অভিশপ্ত জায়গা ছেড়ে। প্রশাসনের সাহায্যও পাবেন। এদিন ম্যালের আশপাশে যখন আন্দোলন শুরু হয়। আগুন জ্বলছে, ইট-বোতল বৃষ্টি হচ্ছে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটছে, তখন বাচ্চাকাচ্চা পরিবার নিয়ে অনেকেই রাস্তায় ছিলেন। তাঁরা অনেকে হোটেলে তড়িঘড়ি ফিরতে চাইলেও ফিরতে পারেননি। বিদেশ বিভূঁইয়ে চরম যানজটের কবলে পড়ে অনেকের ঠান্ডা শহরেও কপালে ঘাম জমে গেছে আতঙ্কে। যাঁরা হোটেলে ছিলেন তাঁরা হোটেল থেকে বার হওয়ার সাহসটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন। আপাতত ইষ্টনাম জপ করছেন কি করে বাড়ি ফিরবেন সেকথা ভেবে।

তাহলে কি দাঁড়াল? মোর্চার আন্দোলন আসলে কার পেটে লাথি মারল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ যাঁরা ভিড় জমিয়েছিলেন পাহাড়ে ছুটি কাটাতে তাঁরা পড়িমরি করে আপাতত পাহাড় ছেড়ে নেমে আসবেন। আর যাঁদের বুকিং ছিল তাঁরা আর ওমুখো হবেন না! তাহলে ভরা মরসুমে মাছি তাড়িয়ে পাহাড়ের অর্থনীতির কী ভালটা হল? পাহাড়ের মানুষের সত্যিই কী ভাল করল এই আন্দোলন? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button