State

নিজেকে পাহাড়ের মুখ্যমন্ত্রী বলে দাবি করলেন বিমল গুরুং!

পাহাড়ে তাণ্ডব চালানোর পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং কার্যত ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে পারেন, কিন্তু পাহাড়ের মুখ্যমন্ত্রী তিনিই। বিমল গুরুংয়ের এই ঔদ্ধত্যে হতবাক গোটা রাজ্য। রাজনৈতিক মহলও অবাক। ঔদ্ধত্য কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা এদিনের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। এদিন রাজ্যের ডাকে সাড়া দিয়ে সন্ধে নাগাদ জলাপাহাড় থেকে ১ কোম্পানি সেনা পৌঁছয় পাহাড়ে। যদিও সন্ধের পর হিংসাত্মক কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাহাড় থেকে যতক্ষণ আতান্তরে থাকা পর্যটকরা সকলে নেমে যেতে না পারছেন ততক্ষণ তিনি পাহাড় ছাড়ছেন না। কিন্তু পাহাড় ছাড়তে চাইলেই তো পাহাড় ছাড়া যাবে না। বিমল গুরুং আগামী শুক্রবার পাহাড়ে বন্‌ধ ডেকেছেন। ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ। হুমকির সুরে জানিয়ে দিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা এই ১২ ঘণ্টায় তিনি পাহাড় থেকে কোনও পর্যটককে নামতে দেবেন না। ফলে হয় পর্যটকদের এদিন রাতেই নেমে আসতে হবে, অথবা শুক্রবার সন্ধে ৬টার পর। এই অবস্থায় এদিন কয়েকজন পর্যটক মন্ত্রীদের কনভয়ের সঙ্গে শিলিগুড়ি ফেরার চেষ্টা করেছেন। তবে প্রায় সকলেই এখনও পাহাড়ে। মন্ত্রীদের অনেকে শিলিগুড়ি ফিরে এলেও কলকাতা ফিরছেন না। সেখানেই থাকবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে সেখানে পাহাড় ফেরত পর্যটকদের যাবতীয় সাহায্য করবেন। বাংলা পড়ানো থেকে পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাবিনেট বৈঠক। আসলে কোনটা যে মোর্চার এদিনের তাণ্ডবের ইস্যু সেটাই পরিস্কার হচ্ছে না অনেকের কাছে। তবে কী শুধুই ক্ষমতা প্রদর্শন। ইস্যু খুঁজে না পেয়ে এমনি এমনি আন্দোলন। তাও আবার এমন যে তাতে পুলিশ থেকে সিআরপিএফ কেউ ছাড় পেল না। রক্তাক্ত হতে হল তাদের। মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজভবনে বৈঠক করছেন তখন ভানু ভবনে জমা হওয়া মোর্চা সমর্থকরা হঠাৎ এমন গুণ্ডামি চালালেন কেন? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই। কিন্তু গুণ্ডামি হয়েছে। বোমা, ইট, কাচের বোতল, বাড়ির টালি কিছুই বাদ যায়নি। সবই আছড়ে পড়েছে পুলিশ, সিআরপিএফের ওপর। সবমিলিয়ে পাহাড় ফের অশান্তির আগুনে জ্বলছে। তবে রাজ্য প্রশাসনের তরফে জিটিএ-র প্রশাসনিক স্তরে রদবদলের কথা ভেবে দেখা হচ্ছে।

 



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button