কয়েক ঘণ্টা আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন গত শুক্রবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ তাঁরা ডাকেননি। ডেকেছিল যুব মোর্চা। তাঁরা বন্ধ করবেন না। বন্ধের কারণে পর্যটকদের অসুবিধার জন্য তাঁদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং একথা বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাতলেবাসে মোর্চার বৈঠক বসে। নেতৃত্বে ছিলেন বিমল গুরুং। উপস্থিত ছিলেন মোর্চা নেতা রোশন গিরি সহ মোর্চার অন্যান্য নেতারা। সেখানে দীর্ঘ বৈঠকের শেষে ফের বন্ধের রাজনীতির রাস্তাতেই হাঁটলেন বিমল গুরুং। নিজের আশ্বাসকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে জানিয়ে দিলেন আগামী সোমবার থেকে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ডাক দিচ্ছেন তাঁরা। তবে এক্ষেত্রে পাহাড়ের মানুষের মন রেখেই বন্ধের পথে হেঁটেছে মোর্চা। যাতে সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে! মোর্চা হাড়ে হাড়ে জানে পাহাড়ের ভরা মরসুমে বন্ধ ডাকলে পাহাড়ের আমজনতার রুটিরুজিতে টান পড়বে। যা তাঁরা কোনও মতেই মেনে নেবেন না। ফলে বিমল গুরুংদের পায়ের তলার সমর্থন আলগা হবে। তাই সোমবার থেকে বন্ধে কেবল সরকারি দফতরগুলিকে টার্গেট করেছেন তাঁরা। অর্থাৎ বন্ধ হবে ঠিকই তবে সেটা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে সীমাবদ্ধ থাকবে। সেগুলি খুলতে বা কাজ করতে দেওয়া হবে না। বন্ধের আওতার বাইরে থাকবে পর্যটন, পরিবহণ, হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্কুল-কলেজ। ফলে জনজীবন বা পর্যটনে কোনও প্রভাব না ফেলেই সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির রাস্তা খুঁজে বার করল মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী এদিনই পাহাড় থেকে সমতলে এসে জানিয়ে দেন তিনি কোনওমতেই আর আপোষের রাস্তায় হাঁটবেন না। আপোষ ভালর জন্য করা হয়। কিন্তু বোমা, গুলি নিয়ে কোনও ভাল হয়না। আইন আইনের পথে চলবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। মোর্চাকে কার্যত হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে জানিয়ে দেন বন্ধ বেআইনি। তাই তিনি তা মেনে নেবেন না। তারপরই এই বন্ধ ঘিরে নতুন করে দুপক্ষে বরফ আরও জমাট বাধল। এদিকে এরমধ্যেই মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি দেবে তারা।