মোর্চার ডাকে পাহাড়ে সরকারি দফতরগুলিতে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের প্রথম দিনেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলেন মোর্চা কর্মী সমর্থকেরা। বন্ধকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই দার্জিলিং জুড়ে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। সরকারি দফতরগুলিতে হাজিরা না দিলে ব্যবস্থা গ্রহণের চাপও ছিল সরকারের তরফে। সবমিলিয়ে সকালের দিকে জেলাশাসকের দফতর সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে হাজিরা ছিল বেশ ভাল। কাজ হচ্ছিল অন্যান্য দিনের মতই। এরমধ্যেই ফাঁক খুঁজে দার্জিলিংয়ে পূর্ত দফতরের একটি অফিসে হামলা চালান মোর্চা সমর্থকেরা। অফিসের জানালার কাচ ভেঙে সেখান থেকে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ঘরে। পুড়ে যায় অনেক দরকারি নথি। এদিকে এদিন সকাল থেকে দার্জিলিংয়ে তেমন এঁটে উঠতে না পারলেও পাহাড়ের অন্যান্য জায়গায় মোর্চার তাণ্ডব দেখতে পাওয়া গেছে। বিজনবাড়িতে বিডিও অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন মোর্চা কর্মী সমর্থকেরা। দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় ৩ জন মোর্চা সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয় ৭ জনকে। এদিকে সোনাদায় বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে হামলা চালান মোর্চা কর্মী সমর্থকেরা। তছনছ করে দেওয়া হয় দফতর। সুকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরেও সকালে তালা ঝুলিয়ে দেন বন্ধ সমর্থকেরা। লেবংকার্ট রোডে একটি সরকারি দফতরে ভাঙচুর চালান মোর্চা সমর্থকেরা। টয় ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ ছিল এদিন। স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান মোর্চা কর্মী সমর্থকেরা। বন্ধ ছিল টয় ট্রেনের টিকিট কাউন্টারও। এদিকে পাহাড়ের অর্থনীতিকে ছন্দে রাখতে পর্যটন, বাজার, দোকানপাট বন্ধের আওতার বাইরে রেখেছিল মোর্চা। অনেক পর্যটক এদিনও সেখানে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং সাফ জানিয়ে দেন পাহাড়ের যা পরিস্থিতি তাতে পর্যটকদের এখানে না থাকাই ভাল। কার্যত পর্যটকদের নেমে যাওয়ার বা পাহাড়ে না আসার জন্য ফতোয়া জারি করেন তিনি। যার প্রভাব পড়েছে পর্যটনে। পর্যটকরা অনেকদিনের পুরানো পরিকল্পনা ছেঁটে ফিরে আসছেন কলকাতায়।