পাহাড়ে সরকারি দফতরে মোর্চার অনির্দিষ্টকালের বন্ধের দ্বিতীয় দিনে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল দার্জিলিং। পর্যটকশূন্য দার্জিলিংয়ে এদিন প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় যান চলাচলও প্রায় ছিলনা। বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ। ফলে সকাল থেকেই বন্ধের চেহারা নেয় পাহাড়ের রানি। এরমধ্যেই চকবাজার থেকে এদিন বেলার দিকে একটি মিছিল বার করে মোর্চা। মোর্চা কর্মী সমর্থকরা জেলাশাসকের দফতরের দিকে এগোতে শুরু করলে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। পুলিশের নেতৃত্বে ছিলেন দুই আইপিএস সিদ্ধিনাথ গুপ্তা ও জাভেদ শামিম। মিছিলকারীদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তাঁরা। কিন্তু তা না শুনলে শুরু হয় লাঠি চার্জ। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দার্জিলিং। মোর্চা কর্মী সমর্থকেরা অনেকে উঁচু থেকে পাথর ছুঁড়ে পুলিশকে বিব্রত করার চেষ্টা চালালেও তা বিশেষ সফল হয়নি। লুকিয়ে পুলিশকে আক্রমণের গেরিলা ছক কার্যত এদিন বানচাল করে দেয় পুলিশের তৎপরতা। অনেক জায়গায় গলিঘুঁজিতে ঢুকে চলে তল্লাশি। বন্ধ বাজারের আনাচে কানাচে ঢুকে পড়ে পুলিশ বাহিনী। মোর্চার তরফে মহিলা সমর্থকদের সামনে রেখে কোনও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা বানচাল করতে এদিন প্রচুর মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পাহাড়ে কোনও প্রকার অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা যে কড়া হাতে দমন করা হবে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের পুলিশি তৎপরতা সেকথাই পরিস্কার করে দিল। একটা স্পষ্ট বার্তাও মোর্চার কাছে পৌঁছে দিল পুলিশ।