পাতলেবাসে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রচুর তির, ধনুক, কাটারি, বেসবলের ব্যাট, নানা ধরণের ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, ব্যাগ ভর্তি করে পাথরের টুকরো, একটি নাইট ভিশন ক্যামেরা ও দুটি রেডিও সেট। এছাড়া বাড়ি থেকে বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিংয়ের পাতলেবাসে জেলার পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গুরুংয়ের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। বিমল গুরুং সেসময়ে সেখানে ছিলেন না। অনেকের দাবি পিছনের দরজা দিয়ে সে সময় পালিয়ে যান মোর্চা সুপ্রিমো। বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। ছোটখাটো যুদ্ধের প্রস্তুতি। রীতিমত সমরসজ্জা! এদিন প্রচুর পরিমাণে মজুত অস্ত্র ছাড়াও ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে গুরুংয়ের বাড়ি থেকে। ২০০০ থেকে শুরু করে ৫০০, ১০০, ৫০ টাকার নোটের অনেক বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, টাকা উদ্ধারের পর বাড়িটি সিল করে দেয় পুলিশ। এদিকে বিমল গুরুংয়ের বাড়িতে এভাবে তল্লাশিকে পুলিশি অত্যাচার বলেই দেখছে মোর্চা। এর বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালের পাহাড় বন্ধের ডাক দিয়েছে তারা। মোর্চার দাবি, বিমল গুরুংয়ের বাড়িতে থেকে যেসব ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তা চাষাবাদে কাজে লাগে। আর তির-ধনুক যা উদ্ধার হয়েছে তা তিরন্দাজি প্রতিযোগিতার জন্য মজুত করা হয়েছিল। যদিও এ দাবিতে তেমন আমল দিতে নারাজ পুলিশ। বরং পুলিশের দাবি, এগুলো পুলিশকে আক্রমণের জন্যই মজুত করা হয়েছিল। তাহলে কী গুরুংকে গ্রেফতার করবে পুলিশ? সরাসরি এর উত্তর না দিলেও পুলিশের আশ্বাস আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এত কিছুর পরও খোঁজ নেই বিমল গুরুংয়ের। তিনি কোথায় কারও জানা নেই।