পাতলেবাসে মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের বাড়ি থেকে অস্ত্রশস্ত্র সহ টাকা উদ্ধার করে বাড়ি সিল করে ফিরছিল পুলিশ। আচমকাই সেসময়ে তাদের ওপর শুরু হয় মোর্চা কর্মী-সমর্থকদের পাথরবৃষ্টি। ফের অশান্ত হয়ে ওঠে চারপাশ। প্রাথমিকভাবে কিছুটা থতমত খেলেও দ্রুত পুলিশ রুখে দাঁড়ায়। শুরু হয় দু’পক্ষে সম্মুখসমর। মোর্চার কর্মীরা উঁচু জায়গাগুলোর দখল নিয়ে সেখান থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ হানতে থাকে। শুরুতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁদের পাড়া, চেনা জায়গা। ফলে কোথা থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ হানলে তারা বিপদে পড়বে তা বিলক্ষণ জানেন মোর্চার মারমুখী কর্মী সমর্থকেরা। সকাল থেকে যে মহিলা মোর্চার কর্মীরা রাস্তায় বসে স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাঁরাই বিমল গুরুংয়ের বাড়িতে হানার পর মারমুখী হয়ে ওঠেন। এরইমধ্যে পাহাড়ি রাস্তায় একপাশে পাহাড়ের ঢালের ধার ঘেঁষে কাটা নর্দমার খাঁজে একটি সংবাদমাধ্যমের গাড়ির চাকা ফেঁসে যায়। সেই চাকা তোলার আগেই তাতে মোর্চা সমর্থকেরা আগুন ধরিয়ে দেন। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গাড়িটি। এদিকে মোর্চার আক্রমণের জবাবে পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ শুরু করে। ছোঁড়া হয় প্রচুর কাঁদানে গ্যাসের শেল। মুখোমুখি একদিকে মোর্চা কর্মীরা পাথর ছুঁড়ছেন। আর অন্যদিকে ঢাল হাতে পুলিশ পাল্টা আক্রমণ হানছে। বিমল গুরুংয়ের বাড়ি তল্লাশির পর কালিম্পংয়েও মারমুখী হয়ে ওঠেন মোর্চা সমর্থকেরা। পেডংয়ে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। সবমিলিয়ে একদিন শান্ত থাকার পর ফের মোর্চার তাণ্ডবে অগ্নিগর্ভ চেহারা নিল পাহাড়।